মনের কথা লিখবো,
মন যা চাই তাই লিখবো,ভুল হলে ভুল থেকে শিখবো

আমার বাবা আর নেই, তিনি ০১-০৭-২০১৭ তারিখে না ফেরার দেশে চলে গেছেন,ওনার জন্য সকলে দোয়া করবেন।

Friday, 28 April 2017

# জীবনী

সবুজ শেখ

আমি সকলের কাছে ভালো ছেলে না। কারণ,
সকল কিছুতে মত পোষন করি না,
বুঝে শুনে মত পোষন করি,
জমিদারি আমার পছন্দ না।
শেখাতে আমি সর্বদাই প্রস্তুত,যা আমি পারি,
খচ্চর মানব থেকে আমি অনেক দূরে।
জন্মসাল ও স্থানঃ-
১৯৯৫ সালে ১০শে অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বাড়বাড়িয়া ইউনিয়নের পাকাটি নামক গ্রামে মতিমেম্বার নামক নানার বাড়িতে জন্ম। কারন,(নানার বড় মেয়ের বড় নাতনি আমি) তাই। তার ঐ উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে কিছু দিন। যখন থেকে আমি বুঝতে শুরু করলাম তার কিছুদিন আগে থেকেই ঢাকা একক ভাবে “মা” ও “বাবা” কে ছেড়ে নানা বাসাতে শৈশব জীবন শুরু হয়। এই ভাবে চলতে থাকে সম্ভবত ২০০০ সালের শুরু পর্যন্ত।
২০০০ সাল থেকে শুরু হয় শিক্ষা জীবন।
শিক্ষা জীবনঃ-
২০০০ সালে ১২৪ নং ডুবাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার আম্মুর ফুফাতো ভাই এর উদ্দোগে শুরু হয় আমার ছাত্র জীবন। ঢাকার আচরণে অল্পদিনে শুরু হয় গ্রমের মানুষের রীতিমত মন জয় করে নেয়া। কিন্ত গ্রামে আমি ভালো না থাকাতে পারায় আবার ২০০২ সালে ঢাকায় ২য় শ্রেণীতে গিয়ে ভর্তি হই,সেখানে ২০০৪-২০০৫ সাল পর্য়ন্ত। এ সময় এর মধ্যে সমস্থ সময় আমার মা ও বাবা কে ছেড়ে ঢাকাই থাকা হয়। মা এর ইচ্ছা অনুযায়ী মা অনেক সময় আমার জন্য আমার সঙ্গে নানার বাসায় থাকতেন। কিন্তু আবার ২০০৫ সালে টিসি নিয়ে ১২৪ নং ডুবাইল থেকে ৫ম শ্রেণী পাস করি।
তার পর মা ও বাবার ইচ্ছাতে মাদ্রসা লাইনে গয়েশপুর দারুল উলুম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাতে ভর্তি হই। সেখান থেকে ২০১১ সালে দাখিল পাস করি। এবং,
২০১১ সাথে সেখান থেকে গিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের পাশের প্রতিষ্ঠান কাওরাইদ গয়েশপুর কলেজে ভর্তি হই। সেখান থেকে ২০১৩ সালে এইচ.এস.সি. পাশ করি এবং গয়েশপুরের ছাত্র জীবন শেষ হয়।
এবং,                                                                                            
বর্তমানে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজে বি.বি.এ তে অধ্যায়নরত আছি।
বন্ধুত্বের সময়কালঃ-
ঢাকা আর গ্রামে অল্প অল্প বসবাসের ফলে আমার জন্মের পর থেকে ভালো বন্ধুর মত থাকতো নানু আর মা। ঢাকা থাকা কালে নানু সবচেয়ে বেশী সময় দিতো,আমাকে নিয়ে ভিন্ন জায়গায় গুড়ে বেড়াতেন। যেমন,
চিড়িয়াখানা,সংসদ ভবন,যাদুঘর,শিশু পার্ক সহ ঢাকার আরো ভিন্ন স্থানে। আর গ্রামে এলে মা এর সংঙ্গ দিতাম সব-সময়। সমস্থ সময় ঘড়ে বসে পড়া আর টি.ভি. দেখার মধ্যে কাটাতাম। অন্য কারো সংঙ্গ আমার ভালো লাগতো কম তাই করো সংঙ্গে মিশতাম না তেমন ভাবে। তাই ২০০৭ সাল পর্যন্ত কোন বন্ধুত্ব হয়নি কারো সাথে।
যখন ক্লাসে সবার চেয়ে আলাদা ভাবে থাকতে লাগলাম তখন সবচেয়ে বেশী কাছে এসে মজা করতো সোহাগ নামের একটি ছেলে। ধীরে ধীরে মাদ্রাসার ভিতর তার সাথে সবচেয়ে বেশী সময় কাটাতাম,তারপর অনেকের সাথে পরিচয় হলো। ভালো একটি বন্ধুত্ব হলো মুজাহীদুল ইসলাম (সাদী) সুজন, ও হাবিবুল্লার সাথে ২০০৭ সালে।
২০০৮ সালে ৮ম শ্রেণীতে উঠলাম,আরবীতে কম পারদর্শী থাকায় রোল থাকতো সবসময় ১০ এর বাইরে। ৮ম শ্রেণীতে রোল হলো ১২,আমার সাথের সবার রোল ১-৫ এর ভিতরে,কিন্তু আমি ১২ তাই ধীরে ধীরে রোল ১৩ এর সাথে পরিচয় হলো,একই গ্রামের ছেলে নাম নাই বললাম। একই গ্রামের থাকা সত্যেও তাকে প্রথমে চিনতাম না,কারণ আগেই বলেছি গ্রামে থাকা কালে ঘড়ে বসে পড়া আর টি.ভি. দেখা ব্যাতিত অন্য কিছু করতাম না,গ্রামের ও কোন দিকে যেতাম না তাই। যাই হোক প্রথমে তাকে সহ্য করতে পারতাম না এভাবে ৮ম পাশ করে নবম শ্রেণীতে তার সাথে রোল ১১ ও ১২ হলো এবার দাখিল ফাইনাল পরীক্ষার সিট একসাথে পরবে তাই আমার সাথে তার আনাগুনা শুরু হলো। (যদিও তার স্বার্থে)
এক গ্রামে বাড়ি থাকায় এক সাথে মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করা শুরু হলো। এই ভাবে চলতে চলতে আমাদের বাড়িতে ও তাদের বাড়িতে যওয়া খাওয়া থাকা শুরু হলো। ২০১১ সালে দাখিল পরিক্ষা দিলাম এক সাথে। পাস করার পর ২জন আবার এক সাথে কাওরাইদ গয়েশপুর কলেজে ভর্তি হলাম। ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভালো ভাবে কাটলো বন্ধুত্বের এই সময়কাল টুকু। ঐ যে লে ছিলাম তার স্বার্থে এইচ.এস.সি পাস করাও শেষ বন্ধুত্বও শেষ।
তাই কোন বেঈমানের নাম আপনাদের সামনে লিখলাম না,(কোন এক সময় বন্ধু ছিলো তাই )।                  
(এর পর থেকে বন্ধুবলে কাওকে বিশ্বস করি না তাই ভালো কোন বন্ধু নাই এখনো)


প্রিয় শখঃ-
বই পড়া সবচেয়ে বড় শখ,তবে আরো একটি বড় শখ হলো ইন্টারনেট আর প্রযোক্তি সম্পর্কে খুটিনাটি তথ্য জনার। 

No comments:

Post a Comment

Search This Blog

fb followers